রিয়াদ হাসান: [৩] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, জনগনের ইচ্ছায় জনগনের ভোটে নির্বাচিত জবাবদিহি সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখব এবং তা হবে শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক।

[৪] সোমবার দুপুরে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং সেলিমা রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

[৫] নির্বাচনে বিজয়ী প্রধানমন্ত্রীকে কয়েকটি দেশ অভিনন্দন জানানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মঈন খান বলেন, আমরা কূটনৈতিক শিষ্ঠাচারে বজায় রেখে কথা বলি আওয়ামী লীগের মতো নয়। তিনটি দেশ সরকারের সঙ্গে দেখা করেছে অথবা সরকার একটি দেশকে নির্বাচনে জয়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকেও তারা ধন্যবাদ জানায়নি।

[৬] তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, মানুষের শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং দেশে-বিদেশে যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, যারা আমাদের সঙ্গে থাকবে, আমরা তাদের সঙ্গে থাকব।

[৭] স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যেটা চাই যে, জনগনের ভোটে নির্বাচিত, জনগনের প্রতি দায়বদ্ধ একটি সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সেটার জন্য দরকার একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেটা হয় নাই। ফলে এই নির্বাচন জনগন প্রত্যাখান করেছে এবং যে পরিমাণ ভোটের উপস্থিতি দেখানো হচ্ছে এটা যে ভুয়া এটা সকল মিডিয়া বলেছে, দেশ-বিদেশের ব্যক্তিরা সবাই বলেছেন। আর ভাড়াটিয়া অবজারভার পর্যবেক্ষকও বলেছেন।

[৮] কত লোক ভোট দিয়েছে বিএনপির সম্ভাব্য ধারণা জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমার মনে হয় এটি আপনারা যেকোনো একজন রিকশাওয়ালা, দোকাদার, সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন আমার মনে হয় তারা আপনাকে ভালো জবাব দেবে।

[৯] মঈন খান বলেন, সরকার ঠিক যত পারসেন্ট বলে দেবে নির্বাচন কমিশন ঠিক তত পারসেন্ট ঘোষণা করবে। এটা অর্থহীন একটা ফিগার হবে।

[১০] ভোট বর্জনের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভোট দিতে যায়নি। ভোট বর্জন করে জনগন গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলগুলোর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই।

[১১] কর্মসূচি ঘোষণা করে মঈন খান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার থেকে আমরা পরবর্তি কর্মসূচি না দেয়া পর্যন্ত আমরা গণসংযোগ অব্যাহত রাখব। রাজপথে হাটে-ঘাটে আমরা মানুষের কাছে যাব, তাদের সাথে কথা বলব এবং তাদের কাছে লিফলেট বিতরণ করব।

[১২] তিনি আরো বলেন, গণসংযোগের মাধ্যমে আমরা গণসচেতনতা সৃষ্টি করব, সেই সচেতনতা হচ্ছে গণতন্ত্রের সচেতনতা, মানুষের অধিকার পুণ:প্রতিষ্ঠার সচেতনতা। আমরা মঙ্গলবার ও বুধবার এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখব। তার পরে আমরা জনগনকে সম্পৃক্ত করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব। সম্পাদনা: ইকবাল খান